
শঙ্খ-চিল। ছবি: সংগৃহীত
আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি চিল আছে। প্রতিটিই সুদর্শন। এদের মধ্যে শঙ্খ-চিল সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে। দারুচিনি রঙের শরীরের মধ্যে ধবধবে সাদা বুক ও মাথা, এককথায় অপূর্ব। ডাকটিও চমৎকার, মন উদাস করে দেয়ার মতো। মূলত শিকারি পাখি এই শঙ্খ-চিল।
মাছ শিকার করেই এদের জীবন চলে। অবসরে উঁচু গাছে বসে থাকে আর মিষ্টি কণ্ঠে গান করে। এদের ছোঁ মেরে মাছ ধরার দৃশ্যটি দেখার মতো। শিকার কদাচিৎ ফসকে যায়। আকাশে পাখা মেলে চক্কর দিতে দিতে এদের ডাক যে কোনো মানুষকে উপরে তাকাতে আকৃষ্ট করে। এভাবে বাতাসে ভেসেই প্রয়োজনে স্থান পরিবর্তন করে।
শঙ্খ-চিল লম্বায় সর্বোচ্চ বিশ ইঞ্চি এবং ওজন ছয়শ সত্তর গ্রাম। বেশ দীর্ঘ আয়ু লাভ করে, প্রায় তিরিশ বছর। প্রধান খাদ্য মাছ। প্রজননকাল ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল।
আমাদের দেশে জলাশয়গুলো প্রায় মৎস্যশূন্য হয়ে যাওয়ার ফলে এদের বিকল্প খাদ্যের খোঁজ করতে হচ্ছে। নগরীতে উপস্থিত পাখিগুলোর শরীরের সাদা অংশ দূষণের কারণে ধূসর। গ্রামাঞ্চলের বা বনের পাখিগুলোর পালক ধবধবে সাদা।
উপমহাদেশ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়া জুড়ে এই চোখজুড়ানো পাখিটির বসবাস। শঙ্খ-চিলের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাওয়ার লক্ষণ নেই। তাই আইইউসিএন পাখিটিকে বিলুপ্তি হুমকিমুক্ত মনে করে।